প্রত্যেকদিন ব্যয়ের পরিমাণ যেভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে একই হারে আয়ের পরিমাণ বাড়ছে না। টানা-হেঁচড়ার জীবন কারো কাছেই ভালো লাগে না। প্রত্যেক পরিবারের প্রধানই পরিবারকে স্বচ্ছল করার জন্য প্রাণপন চেষ্টা চালিয়ে থাকেন। কেউ হয়তো পারেন, আবার কেউ পারেন না। কখনো কি ভেবেছেন, একটু কৌশলী হলেই বেড়ে যেতে পারে আপনার ও আপনার পরিবারের আয়। আসুন জানা যাক কি সেই কৌশল যেগুলোর মাধ্যমে আপনি সহজেই আপনার আয় বাড়াতে পারেন।
১। চাকরির পাশাপাশি ছোটখাট ব্যবসা শুরু করুন
আয় বাড়ানোর সবচেয়ে কার্যকরী উপায় হল, চাকরির পাশাপাশি ছোটখাট একটা ব্যবসা শুরু করা। যদিও এটি হবে আপনার মূল কাজের পাশাপাশি পার্টটাইম কাজ, তবুও একদিন এটিই হয়ে পড়তে পারে আপনার মূল কাজ। যদি আপনি যথেষ্ট দক্ষতা ও বুদ্ধিমত্তা খাটিয়ে কাজটিকে অনেক দিন চালিয়ে যান তবেই আপনি এখান থেকে অসাধারণ একটি ফল পাবেন। চাকরির পাশাপাশি এমন একটি কাজ করা শুরু করুন যেটাতে আপনি মজা পান। এটা নিশ্চিত যে, কয়েকদিন পর থেকেই আপনার পরিবারের আর্থিক সমস্যা কাটতে শুরু করবে।
২। আবার লেখাপড়া শুরু করুন
আয় বাড়ানোর আরেকটি কার্যকরী উপায় হল, পূনরায় লেখাপড়া শুরু করা। আপনি যদি চাকরির পাশাপাশি একটি ডিগ্রী অর্জন করতে পারেন তবে নিঃসন্দেহে চাকরি ক্ষেত্রে আপনার চাহিদা আগের চেয়ে অনেক বেড়ে যাবে। একটা এমবিএ কিংবা ডক্টরেট ডিগ্রী কিংবা যেকোন উচ্চতর ডিগ্রীর মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানে নিঃসন্দেহে আপনার পদোন্নতি হবে। আর পদোন্নতি হলে একই সাথে আপনার আয়ও আগের চেয়ে বেড়ে যাবে। সুতরাং, আয় বাড়াতে চাইলে আবার ছাত্রত্ব গ্রহণ করুন এবং কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে নিজেকে করে তুলুন উপযুক্ত।
৩। শখের কাজ করার মাধ্যমে আয় করতে পারেন
অবসর সময়ে বেশিরভাগ মানুষই নিজের শখের কাজটিতে মনোনিবেশ করেন। এই শখের কাজগুলোর মাধ্যমেও আপনি চাইলে আপনার আয়কে বাড়াতে পারেন। আপনি যদি সৃজনশীল হয়ে থাকেন তবে আপনার জন্য শখের কাজের মাধ্যমে আয় করার বিভিন্ন উপায় রয়েছে। আপনি যদি শখের বসে সুন্দর কোন ছবি আঁকেন কিংবা অন্য কোন সুন্দর শিল্প তৈরি করতে পারেন তবে এগুলো আপনার জন্য এনে দিতে পারে বাড়তি আয়। ছোট পরিসরে এগুলোকে বিক্রি করার চেষ্টা করুন। দেখবেন এগুলো থেকে আস্তে আস্তে করে আপনার আয় হচ্ছে।
৪। বিকল্প আয়ের রাস্তা খুঁজুন
আয় করার বিকল্প অনেক রাস্তা আছে। তবে আপনাকে এ রাস্তাগুলো থেকে আয় করার জন্য একটু উদ্যোগী হতে হবে। বর্তমানে অনলাইনে খুব সহজে বাড়তি আয় করা যায়। আপনি চাইলে একটু পরিশ্রমের মাধ্যমে ব্লগ, ওয়েবসাইট, ইউটিউব ইত্যাদি থেকে আয় করতে পারেন। প্রথম দিকে আপনার হয়তো খুবই কষ্ট হবে। কিন্তু একটা পর্যায়ে আপনি যখন অডিয়েন্স তৈরি করে ফেলবেন তখন আপনার জন্য কাজটি খুবই সহজ হয়ে যাবে। সুতরাং প্রযুক্তির যুগে অনলাইনের সহযোগিতা নিয়ে বাড়তি আয়ের চেষ্টা করুন।
৫। পদোন্নতির জন্য আবেদন করুন
আর কোন কিছুর মাধ্যমে যদি বাড়তি আয় করা সম্ভব না হয় তবে আপনার উচিত হবে পদোন্নতির জন্য ব্যাপক চেষ্টা চালিয়ে যাওয়া। পদোন্নতির জন্য যত ধরণের যোগ্যতা প্রয়োজন সবগুলো পূরণ করে আপনার প্রতিষ্ঠানের প্রধানের নিকট পদোন্নতির জন্য আবেদন করুন। পদোন্নতি হলে আপনার আয় নিশ্চয়ই আগের চেয়ে বাড়বে। সুতরাং, আয় বাড়াতে হলে পদোন্নতির চেষ্টা চালাতে থাকুন।
আজ আর নয় , এটাই বলব আপনার মূল্যবান সময়টা কাজে লাগান। লেখায় ভুল থাকতে পারে, কারন মানুষ মাত্রই ভুল। ভুল থাকলে ক্ষমা করবেন। আমার লেখাটি যদি আপনার ভাল লেগে থাকে তাহলে Facebook এ শেয়ার করুন।
আমার এই ওয়েবসাইট বানানোর উদ্দেশ্য হল, সবাইকে অনলাইন এ আয় সম্পর্কে অবগত করা। আমি চাই কেউ যাতে বেকার হয়ে না থাকে, সবাই যাতে একটা কর্ম নিয়ে ব্যাস্ত থাকে। প্রতিদিন ২টা করে পোস্ট দিয়ে থাকি। আপনারা অবশ্যই আমার দেওয়া প্রতিদিনের ২টা পোস্ট দেখবেন আশাকরি। আমি এই পোস্ট করি, আমি ছাই সবাই যাতে আমার এই লেখাগুলি পরে এবং অনলাইন আয় সম্পর্কে অবগত হয়। আমাদের দেশের হাজার হাজার তরুণ-তরুণী অনলাইন দিয়ে অনেক ভাবে আয় করছে, তাদের জীবনকে পরিবর্তন করে নিয়েছে। আমি বলব আপনি কেন পারবেননা? হা আপনিও পারবেন আপনার মনের মদ্দে সাহস নিয়ে নিন, যে ওরা পারলে আমি পারবনা কেন? আমি কি তাদের মত রক্তে মাংসে গড়া মানুষ না…। আমিও পারব, আমাকেও পারতেই হবে। জিবনের সাথে যুদ্দ করে সময়কে কাজে লাগাবেন। যেই সকল দিন চলে গেছে সেই দিনের কথা না ভেবে, আজ থেকে ঠিক করে নিন ,যে আমিও কিছু একটা করবো ইনশাল্লাহ। এখন থেকেই স্টার্ট করে দিন, প্লান করে নিন কি করবেন জীবনে। দেখবেন আপনার একদিন না একদিন সাপলতা আসবেই। কোন ধরনের হেল্প লাগলে যোগাযোগ করবেন, ইনশাল্লাহ, আমি আছি………।
ভাল থাকুন, সুস্থ থাকুন। উপার্জনই হক আপনার জীবন।